প্রকাশিত: Thu, Jun 8, 2023 4:39 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 9:19 PM

ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে মিশনকে সরকারের নির্দেশনা

ভারত থেকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই

সালেহ্ বিপ্লব: বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদের ভ্রমণ অনুমোদনের বিষয়টি গৌহাটি মিশনকে জানিয়েছে ঢাকা।

সালাহউদ্দিন আহমদের ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে কি না-জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে ইতোমধ্যে গৌহাটিতে আমাদের মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। বাকিটা নরমাল প্রসেসিং। তিনি পাস পাওয়ার পর যে কোনোদিন ফিরতে পারবেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বর্তমানে ভারতের মেঘালয়ে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে দেওয়া ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি জানান,  দেশে ফেরার অনুমতি চেয়ে গত ৮ মে তিনি গৌহাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে আবেদন করেছেন। 

সালাহউদ্দিন আহমেদের আবেদনটি উপ হাইকমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আবেদন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপত্তি নেই মর্মে মতামত দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

এখন কোন প্রক্রিয়ায় বিএনপির এই নেতা দেশে ফিরবেন, এই প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কোনো বাংলাদেশী বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে তাকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সূত্র: নিউ এইজ

সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্যারিসে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন টেলিফোনে বলেন, এসব ক্ষেত্রে প্রচলিত যে নিয়মকানুন আছে, তাই অনুসরণ করা হবে। সূত্র: নিউ এইজ

৬০ বছর বয়সী সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রায় ৮ বছর ধরে মেঘালয়ে আছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে তাকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে তাকে পাওয়া যায়। তার দুমাস আগে ১০ মার্চ তিনি নিখোঁজ হন। 

এ ব্যাপারে সালাহউদ্দিন বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ আমি এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। ওখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ৬১ দিনের মতো তারা আমাকে একটা গোপন জায়গায় আটকে রাখে। ২০১৫ সালের ১০ মে তারা আমাকে চোখ বাঁধা এবং হ্যান্ডকাফ পরানো অবস্থায় গাড়িতে তুলে নিয়ে রওয়ানা করে। তারপর শিলংয়ে একটা গলফ ক্লাবের পাশে আমাকে ফেলে যায়। 

এরপর অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২০২২ সালে নিম্ন আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। কয়েক মাস পর ভারত সরকার তার খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আদালত খালাসের আদেশ বহাল রাখেন। আদালত ভারত সরকারকে নির্দেশ দেন, সালাহউদ্দিন আহমেদকে যাতে আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। এরপর মেঘালয়ের রাজ্য সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে। অন্যদিকে, সালাহউদ্দিন আহমেদ ট্রাভেল পাস চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন। সম্পাদনা: এল আর বাদল